কাল একভাই প্রশ্ন করেছিলেন-
আপনাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে?আমি হা হা রিয়্যাক্ট দিয়ে বললাম- হা স্যার,আছে!
আমরা শুধু ট্রেড লাইসেন্সে নিবন্ধিত নই।বাংলাদেশ সরকারের কম্পানি আইনেও নিবন্ধিত বাংলাদেশী ব্রান্ড!
তারসাথে কনভার্সেশন পড়ে আমি আর আমার কলিগ বেশ হাসছিলাম,লিমেটেড কম্পানির ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা সেটা খোজা দেখে!
পরেক্ষণে আবার কথার প্রসঙ্গে চলে আসলো-
– মানুষের বিশ্বাসের লেভেলটা কোথায় চলে গেছে!
যাওয়ার কারণও অবশ্য আছে। এমন প্রচুর ঘটনা আছে যে,ক্যাশ কালেকশান বেশি হওয়ায় টাকা নিয়ে কুরিয়ার উধাও! কেউ ফোন নম্বর ব্লক লিস্টে রাখেন।এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। এগুলো ব্যাপারে আমি নিজে কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপের পোস্ট বা রিভিও পড়েছি উদ্যোক্তাদের। এগুলোর এগেনেস্টে অনেক ই-কমার্স গবেষকরা নানান পরামর্শ দিয়েছেন।কেউ বলেছেন,কোন কুরিয়ার পার্সনালি নাকি আসলেই সেটা প্রফেশনালি কাজ করছে, এগুলা জাচাই করার জন্য তাদের ট্রেড লাইসেন্স চাইতে পারেন,সরাসরি অফিস ভিজিট করতে পারেন। এধরনের আরও অনেক পরামর্শ দিতে দেখেছি।
পরামর্শগুলো আসলেই সঠিক।তবে ব্যাক্তিগতভাবে আমার মনে হয় একটু সচেতন হলে,এসব কিছুরই দরকার হবে না।কারণ দেশে অনেকগুলো লিমেটেড কম্পানি বা বাংলাদেশ সরকারের কম্পানি আইনে রেজিষ্টেশন কৃত অনেক গুলো কুরিয়ার রয়েছে। লিমেটেড কম্পানিগুলোর রেজিষ্টেশন করার জন্যই প্রচুর ডকুমেন্ট ও অর্থ খরচ হয়।স্বভাবতা এগুলোর রাতারাতি হারিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই বলা চলে।এবং যতযাই হোক কুরিয়ারে এখনও কোন লিমিটেড কম্পানি এখনও হরিয়েও যায় নি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে লিমেটেড কম্পানিগুলোর বাইরেও কারা তাহলে কারজ করছে বা করাচ্ছে?এবং দিনশেষে ঠকছে!এটার একটা ইন্টারেস্টিং স্টেরি আছে।
আমি এমন অনেক দেখিছি,কোন কম্পানির একজন মার্চেন্ট প্রতিদিন বেশ বড় অংকের পার্সেল দিচ্ছে।নির্দিষ্ট ডেলিভারীম্যান প্রতিদিন পিকআপ করতে করতে মার্চেন্ট এব্য ডেলিভারী ম্যানের সাথে স্বভাবতই ভালো সম্পর্কে তৈরী হয়েছে।কিছুদিন পর হয়ত মার্চেন্ট, ডেলিভারী ম্যানকে অফার করল
-তুমি নিজেই তো ডেলিভারী দিলে পারো।কম্পানি আমার থেকে ডেলিভারীরর জন্য ৬০ টাকা নিচ্ছে বাট তুমি তো অনেক কম পাও।সো আমি ৫০ টাকা করে তোমাকে দেই তুমি ডেলিভারী করে সবটাকাটাই রাখো।
অথবা হয়ত ডেলিভারী ম্যান কম্পানির অভ্যান্তরীন কোন কিছুতে বিরক্ত হয়ে,তার সাথে ভালো রিলেশান থাকা মার্চেন্টদের এমন অফার করল।সবমিলিয়ে দুই পক্ষের কাছেই অফারটা বেটার মনে হয়।বেশির ভাগ দেখাযায় এভাবেই পার্সনাল কুরিয়ারের শুরু।
এরপর সে হয়ত একটা মার্চেন্ট নিয়ে ঠিকঠাক চালাচ্ছিল।যখন কয়েকটা মার্চেন্ট হলো তখন নিজে আর কত ডেলিভারী দিবে আর কত কল ধরবে? একদুজন নিলেও তাদের শিডিউল প্রতিদিন করা,কে কবে আসছে, তাদের বেতন,পার্সেল কয়টা ডেলিভারী হইছে, কয়টা টাকা বাকি সবমিলিয়ে তার চোখে শষ্যের ফুল দেখা শুরু হয়।উপায় না পেয়ে স্বভাবতই কিছু টাকা নিয়ে গ্রামে ফিরে যায়! দিনশেষে ক্ষতি মার্চেন্টেরই হয়।
স্বভাবত এরা প্রপার ক্যালকুলেশান করে ফিল্ডে নামে না যার করণে তুলনামূলক প্রাইস কম হয়।যেটাতে পরে স্টে করতে না পেয়ে কুইট করে। প্রাইসের ক্ষেত্রে সব লিমেটেড কম্পানি গুলোকেই আপনি দেখবেন প্রায় সেম ফিগারে থাকে।এজন্য একটু সতর্ক হই আমরা। লিমেডেট কম্পানি জাচাই করতে আপনাকে ডকুমেন্ট চাইতে হবে না। কম্পানির নাম লিখে সরকারি ওয়েবে( http://123.49.32.36:7781/psp/nc_search?p_user_id= ) সার্চ করলেই সেটা ভ্যালিড কিনা জানতে পারবেন।
এতকষ্টকরে আমার বকবকানি পড়ার জন্য সত্যিই ধন্যবাদ।
-Gazi Sakib